ড. প্রতিমা পাল মজুমদার একজন খ্যাতিমান গবেষক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৯ সালে অর্থনীতিতে এমএ পাস করে কিছুদিন কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। স্বাধীনতার পর তিনি বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন। ২০১৩ সালে অবসর নিলেও এখনো তিনি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত থেকে গবেষণাকাজ চালিয়ে
পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছেন, যাঁরা জীবনকালে এমন কিছু করে যান, যার জন্য তাঁরা দুনিয়ার মায়া চিরতরে ত্যাগ করে চলে যাওয়ার পরও বেঁচে থাকা মানুষেরা তাঁদের মনে রাখেন, স্মরণ করেন। বাংলাদেশের সাহিত্যিক-সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী তেমন একজন মানুষ। ৮৮ বছরের জীবন পেয়েছিলেন আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। এর মধ্যে প্
গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী এবং যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক ছাত্র নেতা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আজকের পত্রিকার জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক বিভুরঞ্জন সরকার।
পাকিস্তান ছিল একটি অদ্ভুত রাষ্ট্র। পূর্ব ও পশ্চিম—দুই ভাগে বিভক্ত এই রাষ্ট্রের মধ্যে কেবল ভৌগোলিক দূরত্ব নয়, ছিল ভাষা, সংস্কৃতি, নৃতাত্ত্বিক ও ঐতিহ্যগত প্রভেদ এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণা শেষ হয়েছে। এই লেখা ছাপা হওয়ার দিন অর্থাৎ রোববার, ১৬ জানুয়ারি তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এই নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হোক, প্রত্যেক ভোটার নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নিরাপদে যাঁর যাঁর ঘরে ফির
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন। নতুন যে নির্বাচন কমিশন
নানা আয়োজনে, উৎসাহে, উদ্দীপনায় বিজয়ের ৫০ বছর পালন করলাম আমরা। ৫০ বছর একটি জাতির জীবনে খুব বেশি সময় নয়, আবার একেবারে কমও নয়। এই ৫০ বছরে আমরা পেয়েছি অনেক। আবার না পাওয়ার তালিকাও ছোট নয়।
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর জন্মদিন ১২ ডিসেম্বর। ১৯৩৪ সালে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানার চৌধুরী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ওয়াহেদ রেজা চৌধুরী কংগ্রেসের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গাফ্ফার চৌধুরীও ছাত্রজীবনে বাম ধারার ছাত্ররাজনীতিতে জড়িত হলেও পরে তিনি সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে এসে সাংবাদিকতা ও সাহিত্যব্
স্বার্থচিন্তা, অসংযত লোভ ও নানা ভেদজ্ঞানই হয়তো মানুষকে ক্রমাগত সংকীর্ণ ও অসংযত হওয়ার পথে ঠেলতে ঠেলতে এখন একটা চরম হানাহানি ও উগ্রতার বাতাবরণ তৈরি করেছে। সহনশীলতা একটি সামাজিক মূল্যবোধ। সমাজের স্থিতিশীলতা নষ্ট হলে সহনশীলতাও আর থাকতে পারে না।
মানুষের জীবনে খাদ্য যেমন জরুরি, বাঙালির জীবনে তেমনি রাজনীতি। আমাদের খাদ্যতালিকায় ইদানীং আমিষের সঙ্গে নিরামিষের প্রাচুর্যও লক্ষণীয়। সে জন্য রাজনীতিটাও কেমন যেন নিরামিষ হয়ে যাচ্ছে। কোথায় গেল পল্টন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর বড় বড় জনসমাবেশ? আন্দোলন, ঘেরাও, হরতাল, অবরোধ নেই, জ্বালাও-পোড়
একজন এবার একটু রূঢ়ভাবেই বললেন, ‘বিভু বাবু কাজটি আপনি ভালো করেননি। সেনাবাহিনীর কোনো কিছু লেখার আগে আপনার উচিত ছিল আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নেওয়া।’ আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে আরেকজন বললেন, ‘দেশে এখন গণতান্ত্রিক শাসন না থাকলে আপনার অবস্থা কী হতো, আপনি কি তা অনুমান করতে পারেন?’
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট এক ভয়ংকর বিকেল দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ। সেদিন রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ছিল আওয়ামী লীগের একটি সমাবেশ। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একটি ট্রাকের ওপর স্থাপিত হয়েছিল বক্তৃতামঞ্চ।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এবং নভেম্বর মাসের ৩ ও ৭ তারিখে সংঘটিত ঘটনাবলি বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে অভিঘাত সৃষ্টি করেছে, যে নিষ্ঠুরতার জন্ম দিয়েছে, তা সহজে কাটবে বলে মনে হয় না। ১৫ আগস্ট হত্যা করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
পরীমণিকে নিয়ে যে সব ধুমধাড়াক্কা কাণ্ড চলছে, তার প্রতি যে অন্যায়, অন্যায্য এবং একপেশে আচরণ করা হয়েছে এবং হচ্ছে তা ঠিক বলে মনে না হওয়ায় কিছু না লিখে পারা গেল না। পরীমণি যদি আইনের দৃষ্টিতে কোনো অপরাধ করে থাকেন তাহলে তার অবশ্যই বিচার হওয়া উচিত। কিন্তু আইনত দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই যেভাবে তার চরিত্রহননে
তখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। মকবুল সাহেব ঢাকার একটি আসন থেকে নির্বাচিত দাপুটে এমপি। তাঁকে নিন্দামন্দ করেই সেই প্রতিবেদন। চলতিপত্র বাজারে যাওয়ার পর মনে হলো একটি প্রচণ্ড বোমা ফাটল, বিশেষ করে মোহাম্মদপুর এলাকায়।
প্রায় দেড় বছর হতে চলল পৃথিবী এক নতুন কিন্তু ভয়াবহ অবস্থার মুখোমুখি হয়েছে। এর আগে কখনো পৃথিবীজুড়ে অধিকাংশ মানুষ একই সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে একই আতঙ্কে বিপর্যস্ত হয়নি, একই অনিশ্চয়তায় বিপন্ন-বিষণ্ণ বোধ করেনি। এই ভূমণ্ডল ২০১৯ সালের বছরের শেষ দিকে এমন এক শত্রুর কবলে পড়েছে যে শুধু অপরিচিতই নয়, সে অদৃশ্যও।